আবু ইসহাক
- দীঘল বাড়ী
আসলে গয়নাগুলো ছিল ওসমানের প্রথমা স্ত্রীর। সে মারা যাওয়ার পর চোখা রূপার এই গয়নাগুলোকে মেজে ধুয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জহিরুদ্দিন গয়না হাতে নিয়ে ভালো করে পরখ করে। নাকের নোলক ও নাকফুল ছাড়া আর কোনটাই তার কাছে রূপার বলে মনে হয় না। সে কেমিক্যালের কানফুল জোড়া এক দিকে সরিয়ে হাত দিয়ে আর গুলো চোখের কাছে নিয়ে দেখে। কিন্তু বরপক্ষের এত লোকের সামনে কথা বলতে তার সাহস হয় না। সত্যিই যদি রূপার জিনিস হয়ে থাকে তবে মজলিশের এত লোকের সামনে লজ্জায় কান কাটা যাবে। কেউ হয়ত বলেও বসতে পারে,- বাপের বয়সে রূপা দ্যাহ নাই কোন দিন?
সৌরভ
- মুক্তিযুদ্ধ
যাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি তাঁদের মনে হতাশা সৃষ্টি করেছিল। আমি মনে করি, এটা শুধু পাকিস্তানফেরত সামরিক কর্মকর্তা-সৈনিকদের বেলায় প্রযোজ্য নয়, এটা মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক কর্মকর্তা-সৈনিকদের বেলায়ও প্রযোজ্য। মুক্তিযোদ্ধাদেরও হতাশা ছিল, আমরা কিসের জন্য যুদ্ধ করলাম। এ রকম রাজনীতি ও শাসনের জন্য যুদ্ধ করিনি। সুতরাং এ ক্ষোভটা সবার মধ্যে ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিতান্ত সরল ছিল না। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর অবস্থান ছিল সংঘাতময়। অভ্যন্তরীণ ঘটনাবলিরও ছিল নানামুখী স্রোত।.